ওয়েব ডেস্ক: অবরোধকে পুঁজি করে যারা অহেতুক পণ্যের দাম বাড়াবে তাদের প্রশাসনের হাতে সোপর্দ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের অযৌক্তিক অবরোধকে পুঁজি করে এক শ্রেণির এক অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছেন। যারা অবরোধকে পুঁজি করে পণ্যের দাম বাড়াবেন তারা বিএনপি-জামায়াতের দোসর। এদের চিহ্নিত করে অবশ্যই প্রশাসনের হাতে সোপর্দ করা হবে। অবরোধের নাম দিয়ে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির দায় বিএনপি-জামায়াতকে অবশ্যই নিতে হবে।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) নগরীর দারুল ফজল মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয় চত্বরে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত নাশকতা ও অরাজকতা বিরোধী শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এ এসব কথা বলেন।
আ জ ম নাছির বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার এই দেশের তিন কোটি মানুষকে নানাভাবে সরকারি প্রণোদনায় উপকারভোগী করেছেন। বছরের প্রথমদিন প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরে বিনামূল্যে নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। এছাড়া সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে মাধ্যমিক স্তরে মাত্র ৮-১২ টাকা বেতনে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করছে এবং দৈনিক টিফিন পাচ্ছে। শিক্ষার প্রসারে বর্তমান সরকারের অবদান ঈর্ষণীয়।
তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বীর মুক্তিযোদ্ধা হয়েও তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নন। তিনি বন্দুকের নলে ক্ষমতায় এসে কৌশলে দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত করেছিলেন। অসংখ্য বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছেন। গোলাম আজম ও যুদ্ধাপরাধীদের নাগরিকত্ব দিয়েছেন। তাই বিএনপিকে কোনোভাবেই দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল বলা যায় না। এটা প্রকৃত অর্থে দুর্বৃত্তদের আস্তানা। এই আস্তা না গুড়িয়ে দিতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পদক শফিক আদনান, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, সদরঘাট থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন, ৩১ নং আলকরণ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন তপন, ৩৪ নং পাথরঘাটা ওয়ার্ডের ফজলে আজিজ বাবুল, ৩৩ নং ফিরিঙ্গীবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ফারুক আহমেদ, ২৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, ৩০ নং ওয়ার্ডের মুজিবুল হক পেয়ারু।